Donation

যারা তাদের সম্পদ দিন-রাত প্রকাশ্যে, গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে — তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে রাখা আছে। তাদের কোনো ভয় নেই, তারা কোনো আফসোস করবে না।

-- আল-বাক্বারাহ ২৭৪

এমনিতেই দান সদকার গুরুত্ব অপরিসীম। সদকা বিপদাপদ দূর করে। গোণাহ মাফ করে। দান সদকা যদি এমন খাতে হয় যেখানে দ্বীনের কাজ হয়, ইলমের চর্চা হয়। তবে সে সদকা কেবলই সদকা থাকে না, সেটা দ্বীন কায়েমের অংশ হয়। সদকায়ে জারিয়াহ হয়ে যায়। সদকায়ে জারিয়াহ মানে, যে সদকার সওয়াব মৃত্যুর পরেও মানুষ পেতে থাকে। কেয়ামত পর্যন্ত তার আমলনামায় সওয়াব বৃদ্ধি পেতে থাকে। সময়টা যখন মাহে রামাদান, তখন দানের গুরুত্ব ও বিনিময় বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। রাসূল সা. ও সাহাবীগণের দানসদকা এই মাসে অনেকগুণে বেড়ে যেত।১- রাছূলূল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম ইরশাদ করেন– “দান-ছাদকা গুনাহ মিটিয়ে ফেলে যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে ফেলে।” (জামেউস সাগীর:৫১৩৬- হাদিসটির সনদ সহীহ) ২- দানকারীর সম্পদ বৃদ্ধির জন্য ফেরেশতা দু’আ করে: রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “প্রতিদিন সকালে দু’জন ফেরেশতা অবতরণ করেন। তাদের একজন দানকারীর জন্য দু’আ করে বল, اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا “হে আল্লাহ দানকারীর মালে বিনিময় দান কর। (বিনিময় সম্পদ বৃদ্ধি কর)” আর দ্বিতীয়জন কৃপণের জন্য বদ দু’আ করে বলেন, اللَّهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا “হে আল্লাহ কৃপণের মালে ধ্বংস দাও।”(বুখারী ও মুসলিম) ৩- কিয়ামত দিবসে সাত শ্রেণীর মানুষ আরশের নীচে ছায়া লাভ করবে।… তম্মধ্যে এক শ্রেণী হচ্ছে: وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لَا تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ “এক ব্যক্তি এত গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত কি দান করে বাম হাত জানতেই পারে না।” (বুখারী ও মুসলিম)
সাধারণত কওমী মাদ্রাসাগুলোকে জনগণের অর্থেই পরিচালিত হতে হয়। আবহকাল থেকেই এটাই নীতি। মাদ্রাসাগুলো মুসলিমদের থেকে বিভিন্নভাবে পুরো বৎসরের খরচ সংগ্রহ করে। সেই মোতাবেক, আমাদের মারকাযেও ফান্ড সংগ্রহ চলছে। জনগণের প্রদান করা এই অনুদান, সম্পূর্ণ শরীয়াহ মোতাবেক মারকাযের অসচ্ছল, দরিদ্র ও ইয়াতীম ছাত্রদের আবাসন, আহার, চিকিৎসা, পড়াশোনা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্যে ব্যয় করা হয়।

সাধারণ ফান্ড

নফল দান, নফল সদকা ইত্যাদি এখাতে গ্রহণ করা হয়। জেনারেল ফান্ডের এই অর্থ কিতাব, আবাসন খরচ, আসবাব-পত্র, উস্তাদ ও স্টাফদের সম্মানী ইত্যাদি কার্যে ব্যয়িত হয়।

লিল্লাহ ফান্ড

এখাতে যাকাত, ওয়াজিব সদকা (মান্নত, কাফফারা ইত্যাদি) গ্রহণ করা হয়। এই ফান্ডের অর্থ সরাসরি গ্রহীতার হাতে তুলে দেয়া হয়।

জমিক্রয় ও উন্নয়ন ফান্ড

মারকাযের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকার অদূরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জমি ক্রয় করা একান্ত প্রয়োজন। সে মাফিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এই ফান্ডে এককালীন এক লক্ষ টাকা অথবা এক জায়নামাজ পরিমাণ অনুদান প্রদান করে সদকায়ে জারিয়াহ অর্জনের সুযোগ আছে। এছাড়াও সদকায়ে জারিয়াহর বিশেষ কিছু খাত আছে যেগুলোতে সাধারণ অনুদান গ্রহণ করা হয়। যেমন, কিতাব ফান্ড । মারকাযের গবেষণার প্রয়োজনে অর্ধকোটি টাকার কিতাব দরকার। প্রতি বছরেই অল্প অল্প করে রাব্বে কারীমের দয়ায় কিতাব সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই সামান্য। পাশাপাশি মারকাযের স্থায়ী আবাসনের জন্যে জমি কেনা হবে শীঘ্রই। তাতেও প্রয়োজন অন্তত কোটি টাকা। আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহের যে বিশালতা তাতে এই অর্থ কিছুই না। রাব্বে কারীম সহজ করুন। আমীন! আপনি বা আপনার পরিচিত কাউকে মারকাযের ফান্ডগুলোতে অনুদান দিয়ে সদকায়ে জারিয়াহ এর অংশী হতে পারেন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হন। বারাকাল্লাহু ফীকুম!

মারকাযের দাতা সদস্য কাফেলায় আপনি শরিক হন

বাৎসরিক সদস্য
বাৎসরিক দাতা সংক্রান্ত বিবরণী-

১- বাৎসরিক অনুদানের সর্বনিম্ন পরিমাণ ৩ হাজার টাকা। তবে অধিক প্রদানের সুযোগ আছে।
২- কেও চাইলে নিজের পাশাপাশি পরিবারের প্রয়াত মরহুম/মরহুমার নামেও সদকায়ে জারিয়াহ হিসেবে সদস্য হতে পারেন।
৩- সাধারণত বৎসরে একবার কেবল বাৎসরিক সদস্যদের নিয়ে মজলিশ হয়।
৪- মারকাযের প্রতিদিনের দুয়াতে মারকাযের দাতাদেরকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়।
৫- অনলাইন ফরম পূরণ করার পর মোবাইলে কনফারমেশন মেসেজ প্রদান করা হবে।
৬- কোন বৎসর বিশেষ কারণে আদায় করতে অপারগ হলে পরবর্তীতে প্রদানের সুযোগ আছে।

বাৎসরিক দাতা সদস্য ফরম

    আবেদন

    আমি মারকাযুল উলুম আশ-শারইয়্যাহ ওয়া তারবিয়াতিল মুসলিমীন কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষা ও দাওয়াহ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ মহৎ প্রতিষ্ঠানের একজন বাৎসরিক দাতা সদস্য হওয়ার সংকল্প করেছি। আল্লাহ তা’আলা এ উত্তম সদকায়ে জারিয়াকে আমার ও আমার পরিবারের ইহকালের হিদায়াত ও পরকালের নাজাতের উসীলা হিসেবে কবুল করুন। আমীন

    মাসিক সদস্য
    মাসিক দাতা সংক্রান্ত বিবরণী-

    ১- মাসিক অনুদানের সর্বনিম্ন পরিমাণ ৩০০/- (তিনশত) টাকা। তবে অধিক প্রদানের সুযোগ আছে।
    ২- কেও চাইলে নিজের পাশাপাশি পরিবারের প্রয়াত মরহুম/মরহুমার নামেও সদকায়ে জারিয়াহ হিসেবে সদস্য হতে পারেন।
    ৩- মারকাযের প্রতিদিনের দুয়াতে মারকাযের দাতাদেরকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়।
    ৪- অনলাইন ফরম পূরণ করার পর মোবাইলে কনফারমেশন মেসেজ ও সদস্য নং প্রদান করা হবে।
    ৫- প্রতিমাসে অর্থ প্রেরণের পর নাম অথবা সদস্য নং উল্লেখ করে মেসেজ প্রদান করলে ভালো হয়। এতে আমাদের জানা থাকবে কে অর্থ প্রদান করল।
    ৬- কোন মাসে বিশেষ কারণে আদায় করতে অপারগ হলে পরবর্তীতে প্রদানের সুযোগ আছে।

     
    মাসিক দাতা সদস্য ফরম


      আবেদন

      আমি মারকাযুল উলুম আশ-শারইয়্যাহ ওয়া তারবিয়াতিল মুসলিমীন কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষা ও দাওয়াহ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ মহৎ প্রতিষ্ঠানের একজন মাসিক দাতা সদস্য হওয়ার সংকল্প করেছি। আল্লাহ তা’আলা এ উত্তম সদকায়ে জারিয়াকে আমার ও আমার পরিবারের ইহকালের হিদায়াত ও পরকালের নাজাতের উসীলা হিসেবে কবুল করুন। আমীন

      এককালীন সদস্য
      এককালীন দাতা সংক্রান্ত বিবরণী-

      ১- কেও চাইলে নিজের পাশাপাশি পরিবারের প্রয়াত মরহুম/মরহুমার নামেও সদকায়ে জারিয়াহ হিসেবে সদস্য হতে পারেন।
      ২- মারকাযের প্রতিদিনের দুয়াতে মারকাযের দাতাদেরকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়।
      ৩- অনলাইন ফরম পূরণ করার পর মোবাইলে কনফারমেশন মেসেজ ও সদস্য নং প্রদান করা হবে।
      ৪- অর্থ প্রেরণের পর নাম অথবা সদস্য নং উল্লেখ করে মেসেজ প্রদান করলে ভালো হয়। এতে আমাদের জানা থাকবে কে অর্থ প্রদান করল।

      এককালীন দাতা সদস্য ফরম


        আবেদন

        আমি মারকাযুল উলুম আশ-শারইয়্যাহ ওয়া তারবিয়াতিল মুসলিমীন কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষা ও দাওয়াহ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ মহৎ প্রতিষ্ঠানের একজন এককালীন দাতা সদস্য হওয়ার সংকল্প করেছি। আল্লাহ তা’আলা এ উত্তম সদকায়ে জারিয়াকে আমার ও আমার পরিবারের ইহকালের হিদায়াত ও পরকালের নাজাতের উসীলা হিসেবে কবুল করুন। আমীন

        জমিদাতা সদস্য
        জমিদাতা দাতা সংক্রান্ত বিবরণী-
        ১- কেও চাইলে নিজের পাশাপাশি পরিবারের প্রয়াত মরহুম/মরহুমার নামেও সদকায়ে জারিয়াহ হিসেবে সদস্য হতে পারেন।
        ২- এক জায়নামাজ পরিমাণ টাকা বা ১০,০০০ টাকা দান করতে পারেন।
        ৩- অথবা এক কালীন এক লক্ষ টাকা দান করতে পারেন
        ৪- মারকাযের প্রতিদিনের দুয়াতে মারকাযের দাতাদেরকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়।
        ৫- অনলাইন ফরম পূরণ করার পর মোবাইলে কনফারমেশন মেসেজ ও সদস্য নং প্রদান করা হবে।
        ৬- অর্থ প্রেরণের পর নাম অথবা সদস্য নং উল্লেখ করে মেসেজ প্রদান করলে ভালো হয়। এতে আমাদের জানা থাকবে কে অর্থ প্রদান করল।
        জমিদাতা দাতা সদস্য ফরম


          আবেদন

          আমি মারকাযুল উলুম আশ-শারইয়্যাহ ওয়া তারবিয়াতিল মুসলিমীন কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষা ও দাওয়াহ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ মহৎ প্রতিষ্ঠানের একজন জমিদাতা দাতা সদস্য হওয়ার সংকল্প করেছি। আল্লাহ তা’আলা এ উত্তম সদকায়ে জারিয়াকে আমার ও আমার পরিবারের ইহকালের হিদায়াত ও পরকালের নাজাতের উসীলা হিসেবে কবুল করুন। আমীন